আবু ইউসুফ, নেছারাবাদ প্রতিনিধি
নেছারাবাদের এক কৃষ্ণচূড়া গাছের কণ্ঠে যেন ফুটে উঠেছে মানবজীবনের এক গভীর শিক্ষা। গাছটি বলে—
“আমার নাম কৃষ্ণচূড়া গাছ। যখন আমার শরীর ফুলে ভরে ওঠে, তখন মানুষ আমাকে ভালোবাসে, ছবি তোলে, প্রশংসা করে। কিন্তু আজ, যখন আমার গায়ে ফুল নেই, সৌন্দর্য নেই, তখন কেউ আমার দিকে তাকায় না। পৃথিবী আর তার মানুষ বড়ই নিষ্ঠুর — সবাই সুন্দরের পূজারী, সুন্দর না হলে কেউ কাছে আসে না।”
এই কৃষ্ণচূড়া গাছের কণ্ঠ যেন মানুষের মনকেই প্রশ্ন ছুঁয়ে যায় — “তোমরা মানুষ হয়েও কেন কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যের পিছে ছুটো?”
গাছটি আরও বলে,
“তোমরা যেন আমার মতো ঋতুভেদে সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলো না। নিজের জীবনকে সাজিয়ে তোলো লেখাপড়ার আলোয়। বইয়ের পাতায় হারিয়ে যেও না, বরং বইকে আলিঙ্গন করো। জ্ঞানের আলোয় নিজেকে গড়ে তোলো, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর মানুষ হিসেবে।”
কৃষ্ণচূড়া গাছের এই কথাগুলো শুধু এক গাছের অনুভূতি নয়, বরং এক জীবনবোধের বার্তা—
সৌন্দর্য কেবল ফুলে নয়, সৌন্দর্য মননে, জ্ঞানে ও কর্মে।
এই গাছের বার্তায় যেন প্রতিটি মানুষ নতুন করে ভাবুক—
কীভাবে নিজেকে জ্ঞানে, চরিত্রে ও মানবিকতায় সত্যিকারের সুন্দর করে তোলা যায়।